
শেরপুর প্রতিনিধি:
৬৫ বছরের পুরনো সরকারি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় পাচঁ মাস যাবত অবরুদ্ধ হয়ে আছে অন্তত দেড় শতাধিক পরিবার। ফলে যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ু-য়া শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকজন।
এই নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিস বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। ঘটনাটি শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খামারপাড়া এলাকার। রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান,শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খামারপাড়া এলাকার ছাবর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও মঞ্জুরুল ইসলাম কনক তাদের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া একটি সরকারি রাস্তা প্রভাব খাটিয়ে বন্ধ করে দেন। এতে করে খামারপাড়া গ্রামের দেড় শতাধিক পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। খামার পাড়া গ্রামে স্কুল,মাদ্রাসা,মসজিদ,ঈদগাহ মাঠসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় এক কিলোমিটার বাড়তি রাস্তা ঘুরে হাসপাতাল,উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছে তাদের। জরুরী প্রয়োজনে অসুস্থ রোগী আনা নেওয়ার কাজেও ভোগান্তি হচ্ছে।
এতে করে দারুণ ভোগান্তিতে পড়েছেন দেড় শতাধিক পরিবারের অন্তত সহস্রাধিক মানুষ। রাস্তা বন্ধের ঘটনায় একাধিকবার গ্রাম্য শালিস বৈঠক হয়। শালিস বৈঠকে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও পরে রাস্তাটি খুলে দেননি জাহাঙ্গীর আলম ও মঞ্জুরুল ইসলাম কনক। শালিস বৈঠক না মেনে উল্টো খামারপাড়া গ্রামের নিরপরাধ ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন তারা। কিছু বললেই মামলা দিয়ে হয়রানি করার ভয়ভীতি দেখান বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
সরকারি রাস্তা বন্ধ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মঙ্গলবার মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর আয়োজনে ঘন্ট্যাব্যাপী মানববন্ধনে নারী পুরুষসহ দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন,জাফরুল হাসান জনি, ফরহাদুজ্জামান বাবু,জাহাঙ্গীর আলম মিষ্টার,মনিরুজ্জামান,বাবুল মিয়া,মোস্তাফিজুর রহমান, নুর হোসেন, আবদুল্লাহ,এমদাদুল হক,সাবিনা ইয়াসমিন,স্বর্ণা বেগম,শিক্ষার্থী ফারিয়া সরকার, জান্নাতুল মাওয়া ও ওমর সানী প্রমূখ।
স্থানীয় বাসিন্দা জাফরুল হাসান জনি বলেন, জাহাঙ্গীর আলম ও মঞ্জুরুল ইসলাম কনক প্রভাব খাটিয়ে সরকারি রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে চলাচল করতে পারছে না দেড় শতাধিক পরিবারের মানুষ। প্রতিবাদ করায় তারা গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা করেছেন। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
শিক্ষার্থী ফারিয়া সরকার বলেন, রাস্তা বন্ধ থাকায় প্রায় দেড় দুই কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে কাচাঁ রাস্তা দিয়ে কলেজে যেতে হয়। এতে অনেক সময় জামা কাপড়ে ময়লা লেগে যায়। ফলে সেদিন আর কলেজে যাওয়া হয় না। দ্রুত রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবি তার।
এ ব্যাপারে জানতে জাহাঙ্গীর আলম ও মঞ্জুরুল ইসলাম কনকের সাথে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি।
কাকিলাকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুল্লাহ তালুকদার বলেন,রাস্তাটি অত্যান্তজন গুরুত্বপূর্ন। রাস্তার কাজ করতে গেলে একটি পক্ষ বাধাঁ প্রদান করে। এতে গ্রামবাসী ভোগান্তি পোহাচ্ছে।